
গত বছর ব্রাজিলে একটি বজ্রপাত ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ ছিল। বোস্টন থেকে ওয়াশিংটন ডিসির যে দূরত্ব তারচেয়েও বেশি ছিল বজ্রপাতটির দৈর্ঘ্য। সেই সুবাদে এটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ বজ্রপাত। জাতিসংঘের আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেট্রোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে বজ্রপাতের দুটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। এর একটি দৈর্ঘ্যতার এবং অপরটি সময়ের ব্যাপ্তির।
২০১৯ সালের ৪ মার্চ আর্জেন্টিনার উত্তরাঞ্চলে হওয়া একটি বজ্রপাত ১৬ দশমিক ৭৩ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। এটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় হওয়া বজ্রপাত।
ওই বছরের ৩১ অক্টোবর দীর্ঘ বজ্রপাতটি হয়েছিল ব্রাজিলে। দৈর্ঘ্যতার দিক থেকে এটি ছিল আগের রেকর্ডের তুলনায় দ্বিগুণ। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন থেকে ওয়াশিংটন কিংবা লন্ডন থেকে সুইজারল্যান্ডের বাসিলের দূরত্বের সমান।
এর আগে দীর্ঘ বজ্রপাতের রেকর্ড হয়েছিল ২০০৭ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমাতে হওয়া ওই বজ্রপাতের দৈর্ঘ্য ছিল ৩২১ কিলোমিটার। আর ব্যাপ্তির দিক থেকে রেকর্ড করা বজ্রপাতটি হয়েছিল ফ্রান্সের দক্ষিণে। ২০১২ সালের আগস্টে ওই বজ্রপাতটির স্থায়ী হয়েছিল ৭ দশমিক ৪৭ সেকেন্ড।
২৮ জুন আন্তর্জাতিক বজ্রপাত নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে বজ্রপাতের এই নতুন দুটি রেকর্ড ধারণ করেছে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন। জিওস্ট্যাশনারি অপারেশনাল এনভায়রনমেন্টাল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বজ্রপাতের এই দৈর্ঘ্যতা ও সময়ের ব্যাপ্তির তথ্য ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিবছর বিশ্বে বজ্রপাতে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৭৫ সালে জিম্বাবুয়েতে বজ্রপাতে মারা যায় ২১ জন। ১৯৯৪ সালে মিশরে তেলের ট্যাঙ্কারে বজ্রাপাতের পর অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় ৪৬৯ জন। শুক্রবার ভারতে প্রবল ঝড় ও বজ্রপাতে মারা গেছে শতাধিক মানুষ।