রীতা রায়
স্বাধীনতা!
আমার প্রিয় স্বাধীনতা!
তোমাকে পেয়েছি –
হাজার নদীর রক্তের বিনিময়ে!
লক্ষ লক্ষ শহীদের জীবনের বিনিময়ে!
অগণিত মা- বোনের ত্যাগের বিনিময়ে!
তাই আজ আমরা স্বাধীন
নিজের দেশের মাটিতে –
আজ আমরা মুক্ত, সম্পুর্ণ শৃঙ্খল মুক্ত।
নিজের মায়ের মুখের ভাষায়
মুখরিত প্রিয় স্বদেশের মাঠ- ঘাট- প্রান্তর।।
কিন্তু আজও যখন –
আমার প্রিয় মাতৃভূমির বুকে
গর্জন করে ক্ষুধার্ত গ্রেনেড,গুলি,বন্দুক।
অকারণে বয়ে যায় রক্তের স্রোত
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয় নিরীহ দেশবাসী
নিশ্চল,নির্বাক, নিস্পন্দ হয় জীবনযাত্রা।
হাহাকারে ছেয়ে যায় সমস্ত আকাশ।
ঘুমের শিশু কেঁদে ওঠে ” বাবা” বলে
কিন্তু তার পিতা আর ফেরেনা ঘরে!
মুছিয়ে দেয়না শিশুর চোখের অশ্রুরেখা।
কোন গৃহস্বামী আর ছুটিতে ফেরেনা বাড়িতে
সমাপ্ত করতে গৃহের অসমাপ্ত কাজ।
বধুর নিশি যেন অনন্ত প্রহর
ভাই নিরবে মুছে অশ্রুজল।
শীতল হয় না আর মায়ের
প্রতীক্ষিত তপ্ত বুক!
তখন মনে হয়
“স্বাধীনতা “!
সত্যিই কি তুমি এসেছো?
আমরা কি সত্যিই স্বাধীন?
যদি এসে থাকো
যদি তুমি সত্যিই এসো থাকো
তবে কেন আবার
একাত্তরের পুনরাবৃত্তি?