সাফ চ্যাম্পিয়ানশিপ খেলায় বিজয়ী হওয়া বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়ার ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার সোহাগী কিসকু ও স্বপ্না রাণীকে উষ্ণ সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে নিয়ে নিজ বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ফেরার কথা শুনে উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার রাতে সাবাস বাংলাদেশ সম্বলিত সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে গাড়ী বহরে করে এ দুই কৃত্বি খেলোয়ারকে বরণ করে তাদের বাড়িতে পৌছে দেন।
রানীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ – রাণীশংকৈল উপজেলার প্রধান ফটকে উষ্ণ সংবর্ধনায় বরণ করে নেওয়া হয় সোহাগী কিসকু ও স্বপ্না রাণী কে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু, রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলাম, জেলা ফুটবল এসোশিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার গুপ্ত, ক্রীড়া সংস্থার সদস্য লেবিন,কোচ খাইরুল বাশার ও সুর্গা মুরমু।
উপজেলা প্রশাসনরে পক্ষে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির তাদের বরণ করে নেয়। আগামি রবিবার তাদের ডিগ্রি কলেজ মাঠে তাদের গন সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে গণসংবর্ধনার প্রহর গুনছে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, প্রেস ক্লাব সহ এলাকাবাসি।
নিজ মেয়েকে বাড়িতে পেয়ে খুশিতে ভাসছে সোহাগী ও স্বপ্নার পরিবার। স্বপ্নার বাবা নিরেন চন্দ্র বলেন, আমার স্বপ্না আজ আমার নয় দেশের সম্পদ । আগামিতে সে ভালো কিছু উপহার দিবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, এ অর্জনের পিছনে রয়েছেন সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, কোচ জয়নুল ও সুর্গার অবদান। মেয়ে আসবে তাই রাতে বাতি জ্বালিয়ে রাস্তায় বসে ছিল সোহাগীর বাবা গুলজার কিসকু। আইনশৃংখলা বাহিনীর গাড়ী দেখে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছিল সে সময় মেয়ে গাড়ীতে নেমেই ঝাপটে ধরলেন তাকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন পরিবারের সকলেই। এ সময় বললেন আমার সোহাগী আজ জাতীয় দলের খেলোয়ার। তার জন্য আর্শিবাদ করবেন সকলেই। সে যেন আরো ভাল খেলতে পারে।
সবার সংবাদ ২৪ ডটকম