জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন। পৌষের শীতকে হার মানিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুুটছেন প্রার্থীরা। এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় নাখোশ স্থানীয়রা। তাই সভা-সমাবেশে নৌকার কথা বললেও তাঁরা কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে। অন্যদিকে বিএনপিতেও রয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী। ভোটের মাঠে তাঁর অবস্থানও ভালো। ফলে বিদ্রোহীদের দাপটে ক্রমেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থীরা।
এবার পৌর মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান মেয়র কশিরুল আলম, বিএনপি থেকে রেজাউল করিম রাজা, জাতীয় পার্টি থেকে তৈয়ব আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে হাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকরামুল হক ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী কশিরুল আলম বলেন, ‘আমি সব সময় জনগণের জন্য কাজ করি। জনগণ আমাকেই ভোট দিয়ে আবারও নির্বাচিত করবে।’ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ পদপ্রার্থী রেজাউল করিম রাজাও একই ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেন। এদিকে নিজেদের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইকরামুল হক ও বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিন।পীরগঞ্জ পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জিলহাস উদ্দিন বলেন, ‘আগামী ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’