পীরগঞ্জে টাঙ্গন নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে এক গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২০

ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে টাঙ্গন নদীর ভাঙ্গনে হুমকরি মুখে পড়েছে কোষাবন্দর গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার। এরই মধ্যে চলাচলের রাস্তা, বাঁশঝাড়, গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুটি সহ বেশ কিছু বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছেন, নদীর তীর রক্ষায় একটি প্রকল্প উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলার কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, তার ইউন্য়িনরে উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদীর ভাঙ্গনে কোষাবন্দর গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার হুমকির মধ্যে রয়েছেন। কয়েক বছর ধরে নাকটি ব্রীজের সতীর ঘাট থেকে কোষাবন্দর গোরস্তান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদীর ডান তীর ভাঙতে আছে। প্রতি বছর বর্ষায় নদীর পাড় ভাঙ্গে। এরই মধ্যে ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলের কাটা রাস্তা, গাছপালা, বঁশঝাড় এবং ৭/৮টি বাড়ি নদীতে মিশে গেছে। এবারের বন্যায় তিনটি বাড়ি নদীতে চলে গেছে। শতাধিক বাড়ি এলাকা ছেড়ে অন্যত্র সড়ে গেছে। নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বর্তমানে এমন একটা অবস্থায় এসেছে যা বলার ভাষা নেই। ঐ এলাকার বাসিন্দারা বৃষ্টি হলেই আতংকে থাকে। নদীর পাড় রক্ষার করার মত সামর্থ ইউনিয়ন পরিষদের নাই। ক্ষতিগ্রস্থ রিলিফ দিয়ে সহায়তা করা ছাড়া তারা কিছু করতে পারছেন না। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা, জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম জানান, গত বন্যায় ঐ এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনটি বাড়ি নদী বিলিন হয়ে গেছে। তাদের তালিকা করে জেলা প্রশাসনকে অহতি করা হয়েছে।

ঐ এলাকার বিধবা আহেদা বানু জানান, এবারের শেষ বন্যায় পইশানজু সহ তিন জনরে বাড়ি নদীতে চলে গেছে। তার অন্যান্য ঘড় নদীতে ভেঙ্গে গেছে। একটি মাত্র মাটির ঘড় অবশিষ্ট আছে। সেটিও ভাঙ্গার পথে। এটি নদীতে চলে চলে তার মাথা গোজাবার মত আর কোন ঠিই থাকবে না।
মোহাম্মদ নামে এক বৃদ্ধ জানান, নদী ভাঙ্গার কারণে স্থানীয় গোরস্তানে যাওয়া যায় না। কেউ মারা গেলে লাশ নিয়ে যেতে খুব কষ্ট হয়। দুই কিলোমিটার ঘুড়ে তেতে হয়।

রায়হান আলী জানান, জন প্রতিনিধি, সরকারি দপ্তর সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠাকুরগাওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, কোষাবন্দর সহ টাঙ্গন নদীর তীর রক্ষায় চারটি প্রকল্প প্রস্তুত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। এর মধ্যে তিনটির কাজ হয়ে গেছে। এটিও আশা করছি আগামী অর্থ বছরে হয়ে যাবে।