কারেন্ট পোকার উপদ্রবে দিশেহারা ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২০

দেশের উত্তরের কৃষি নির্ভর জনপদ ঠাকুরগাঁও। আর মাত্র কয়েকটাদিন যাবার প্রহর গুনছে এখানকার কৃষকরা। তারা স্বপ্ন দেখছে নতুন ফসল ঘরে তোলার। কিন্তু তাদের এই স্বপ্ন একেবারেই পন্ড করতে বসেছে ধানের পাতা ব্লাস্ট (বি এল বি) রোগ ও কারেন্ট পোকা (বাদামী গাছ ফড়িং)।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন, বেগুনবাড়ি, খোঁচাবাড়ি, দানারহাট, বরুনাগাঁও ও রানিশংকৈল,পীরগঞ্জ, হরিপুর উপজেলা সহ রুহিয়া থানার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও তথ্য নিয়ে জানা গেছে এবার আমন ধানে ব্যাপকহারে ধানের পাতা বøাস্ট ও কারেন্ট পোকা আক্রমণ হয়েছে। যার কারণে পাতার উপরের অংশের দিক থেকে প্রথমে কালো দাগ এবং পরে ধীরে ধীরে শুকিয়ে আসছে। আবার কারেন্ট পোকার জন্য লালচে হয়ে যাচ্ছে ধানের গাছ। যার ফলে কমছে ধানের ফলন।

মনসুর ,শাহিন, নৃপেন ও হরিশ নামের কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান,এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানের ফলন ভালো হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে ধানে ব্যাপক আকারে বøাস্ট ও কারেন্ট পোকা লেগেছে। যার ফলে ভালো ফসলের আশা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু বালাই নাশক স্প্রে করলেও শতভাগ ফলাফল পাইনি।

কীটনাশক ব্যবসায়ী আহসান হাবিব ও নজরুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আমন মৌসুমে কৃষক ধানের ব্লাস্ট দমনে ব্যাকট্রেরিয়া ও ছত্রাক নাশক এবং কারেন্ট পোকা দমনে পাইমেট্রোজিন প্লাস নাইটেনপাইরাম, এসিফেড গ্রæপের কীটনাশক বেশির ভাগ ব্যবহার করছেন। কৃষকের চাহিদা মোতাবেক আমরা উক্ত গ্রæপের কীটনাশক বিক্রি করছি।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবীদ আফতাব হোসেন জানান, আমরা ব্লাস্ট এবং কারেন্ট পোকা দমনে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছি। এ বিষয়ে কৃষকের সাথে উঠান বৈঠক করে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছি এবং এসব রোগ দূরিকরণে লিফলেট বিতরণ করেছি।