করোনার মহাবিপর্যের মধ্যেই অল্প সময়ে কম পুঁজিতে বেশি লাভ হয় বলে করলা চাষে ঝুঁকেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। জেলায় চলতি মৌসুমে এবার করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি এবার চাষিরা দামও পেয়েছেন ভালো।
সরেজমিন দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও, আখাননগর, চাপাতি, রাজারামপুর খড়িবাড়ী, দক্ষিণ বঠিনা, উত্তর বঠিনা, ঝলঝলি, ফরিদপুর, বড়দেশ্বরী, ধর্মপুর, বোয়ালিয়া চোপড়াপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০০ কৃষক করলা চাষ করেছেন।সাধারণত বছরে দুইবার খেতে করলা চাষ করা যায় বলে জানান চাষিরা। জানা গেছে, জেলার মানুষের চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন এলাকা থেকে করলা আনতে হতো। কয়েক বছর ধরে জেলায় উৎপাদিত করলা বিক্রি হচ্ছে বাজারে। আগে প্রতি কেজি করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আগস্ট থেকে অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসে খেতে দুইবার করলা চাষ করা যায়। সাধারণত রোপণের ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। উপজেলায় করলা চাষ দিন দিনই জনপ্রিয় হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায় জানান, চলতি মৌসুমে সদর উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ১৭ হাজার কেজি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের সহায়তাসহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।