ঠাকুরগাঁওয়ে শতবর্ষী ভবনটি ঝুকিপুর্ন : আতংকে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২০

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের জমিদারপাড়ায় শতবর্ষী পরিত্যক্ত ভুমি অফিসের জরাজীর্ন ভবনের কারনে আতংকে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। পুরো ভবনটি জুড়ে বিভিন্ন ধরনের জঙ্গলী গাছ ঢেকে গেছে। ভবনের আশ পাশ দিয়ে চলাফেরার সময় পথচারীদের মাথায় অনেক সময় ইট খসে পরছে। ভবনের ভেতরের পরিত্যক্ত অংশে সন্ধার পরই মাদকসেবীদের অভয়আরণ্যে প্ররিনত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন রাতেই সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা ও চিৎকারে আশ পাশের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে।
ভবনটির সামনের বাড়ির বাসিন্দা প্রবীন ব্যক্তি রিয়াজুল ইসলাম জানান, এই ভবনটির বয়স প্রায় ১শ বছরের বেশি। প্রথমে ভবনটি জমিদারপাড়ার বদরোদ্দোজা চৌধুরীদের ছিল। তারা এই ভবনটি ব্যবহার করে আসছিল। পরবর্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ শতক জায়গার উপরে নির্মিত ভবনটি অধিগ্রহন করা হয়। এর পর পরই এই ভবনটি দীর্ঘদিন ভুমি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এটি এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লীদের জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ অথবা জমিটি অন্য কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহানশাহ বলেন, ভবনটি এতটাই জরাজির্ন অবস্থায় রয়েছে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমার বাড়িতে ২ জন শিশু ও আশ পাশের ছোট শিশুরা ভবনের সামনের ফাঁকা স্থানে খেলাধুলা করে। কিন্তু ভবনের ইট ও মাটি ভেঙ্গে পরার কারনে তারা ঝুকিতে রয়েছে। এছাড়াও ভবনটিতে বিভিন্ন ধরনের জঙ্গলী গাছপালা থাকায় সাপ ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক কীট পতঙ্গে ভরে গেছে। মাঝে মাঝেই জঙ্গলের মধ্যে সাপ চোখে পরে।
ভবনের সামনের বাড়ির সদস্য চঞ্চল নামে এক ব্যক্তি জানান, এই ভবনটির সামনেই জমিদারপাড়া জামে মসজিদ অবস্থিত। ভবনের ২ পাশের রাস্তা দিয়ে মসজিদের মুসল্লিরা যাতায়াত করে। ইট খসে পরায় তারা ঝুকিতে রয়েছে। এছাড়াও সন্ধার পর পরই এখানে মাদক ও জুয়ার আসর বসে। রাত যতই বাড়ে মাদকসেবী ও জুয়ারুদের চিৎকার-চেচামেচিতে এলাকাবাসী অতীষ্ঠ হয়ে পরেছে। তাই ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ অথবা অন্য কোন কাজে লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে পুরোনো ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সেখানে নতুন করে ভুমি অফিস করার ব্যাপারে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। তবে যতদিন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ হবে না ততদিন ভবটির ময়লা-আবর্জনা ও গাছ-গাছালি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।