সকাল ৮টা বেজে ৪৭ মিনিট। রেল পথে আসছে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে মোটর সাইকেল আরোহী জিসান মির্জা অপেক্ষাকালে আক্ষেপ নিয়ে বলছিলেন ‘রেলসহ সারা দেশে নাকি যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। অথচ প্রায় তিন মাস যাবৎ দেখছি ঠাকুরগাঁও রোডের রেল ক্রসিংয়ের গেট বেরিয়ার নামছে না। রেল দেশের এত বড় একটা সেক্টর অথচ জনগণের ছোট্ট এ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে প্রতিদিন। এটা লজ্জাজনক।’
রোববার সকালে ঠাকুরগাঁও রোডে রেলক্রসিংয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, চার লেন সড়কের দুই পাশে মোট চারটি গেট বেরিয়ার রয়েছে। ট্রেন আসার আগে দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতার হুঁশিয়ারি স্বরূপ তিনটি গেট বেরিয়ার নামানো হলেও একটি নামানো হলো না। এদিকে রেল লাইনের পাশেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অপক্ষেমান চালক, পথচারী ও মোটরসাইকেল আরোহী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা নিজেদের আক্ষেপ প্রকাশ করছেন নানা কথা বলে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, আজ তিন মাস যাবৎ এই গেট বেরিয়ারটা পড়ছে না। যান্ত্রিক সমস্যা হতে পারে। তাই বলে এতদিনেও ঠিক হবে না! এটা কর্তৃপক্ষের গাফিলাতি ছাড়া আর কিছু নয়। সেইসঙ্গে ট্রেন যাওয়ার পর সবাই পাগলের মতো ট্রাফিক নিয়ম না মেনে গাড়ি নিয়ে ছোটে। এমন সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। এখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে না আনলে যখন তখন বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটবে নিশ্চিৎ।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম বলেন, সারাদেশে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করছি আমরা শিক্ষার্থীরা। আজ এখানে যা দেখলাম তা প্রত্যাশা করিনি। লজ্জা লাগছে আর ধিক্কার দিতে চাই দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টদের। রেল ক্রসিংকে এরকম মৃত্যুফাঁদ করে রাখার কোনো মানেই হয় না।
ঠাকুরগাঁও রোডের স্টেশন মাস্টার মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, তিন মাস নয়, এক মাস ধরে একটি গেট বেরিয়ার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নামানো যাচ্ছে না। আমি এ সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক আগেই ঊর্ধ্বতনকে চিঠি দিয়েছি। আজ আবার জানাবো।