প্রথমেই ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায়সহ পুলিশের সকল সদস্যকে জানাই অভিনন্দন। অভিনন্দন জানানোর কারণ দ্রুত সময়ের মধ্যে পীরগঞ্জের জাবরহাট ইউনিয়নের বিকাশ ব্যবসায়ী ইসাহাক আলী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করার জন্য। সাধারণত বেশিরভাগ সময় আমরা জনগণ পুলিশের সমালোচনা করে থাকি। কিন্তু পুলিশের ভালো কর্মকাণ্ডে সাধুবাদ বা অভিনন্দন জানাতে আমরা ভুলে যাই। আবারও অভিনন্দন জানাচ্ছি পীরগঞ্জ থানা পুলিশকে। ইসাহাক হত্যার রহস্য উন্মোচন করার সাথে সাথে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা আরও বেড়ে গেল। সেই সঙ্গে দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেল পুলিশেরও। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সুষ্ঠ রাখতে পুলিশের এখন থেকে আরও বেশি তৎপর থাকতে হবে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস ধরে রাখার জন্য অসমাপ্ত আরও বিভিন্ন মামলাগুলোর রহস্য উন্মোচন ও অপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে কাজও করতে হবে পুরোদমে। শুধু মাত্র ইসাহাক হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করে জনগণের আস্থা ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে। এজন্য যতদ্রুত সম্ভব পীরগঞ্জ উপজেলায় চুরি, ছিনতাইরোধ করাসহ মাদক ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাদের লাগাম টেনে ধরা। মাদক সহজলভ্য হওয়ায় বর্তমানে পীরগঞ্জের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে বড্ড দুঃশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। পীরগঞ্জ পৌরশহরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে মাদক বেচাকেনার বিষয়টি কিন্তু ওপেন সিক্রেট। যদিও আপনারা বার বার বলে আসছেন মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহতও আছে। মাঝে মাঝে মাদকসহ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে জেলহাজতেও পাঠাচ্ছেন। এজন্যও সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাই। কিন্তু মাদক নির্মূল করা কি গেছে? সেটি অবশ্য আমার থেকে আপনাদেরই ভালো জানার কথা। জনগণের কাছে আরও বিশ্বস্ত ও আস্থার হতে আপনাদের কাজ করতে হবে অপরাধ দমন করে। জুতার সূত্র ধরে যেমন একটি হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে পারে পুলিশ, তেমনি পীরগঞ্জে মাদক কর্মকাণ্ডের পেছনের মূল হোতা কারা সেটাও কিন্তু পুলিশ বের করে তাদের আইনের আওতায় আনতে পারে। আশা করি পীরগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের নতুন নতুন সাফল্যের দ্বার উন্মোচিত করে পীরগঞ্জকে মাদক ও অপরাধমুক্ত শহর হিসেবে একদিন ঘোষণা করবে। জয় হউক পীরগঞ্জ পুলিশের।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী