ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ রেলস্টেশনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে টিকিট কালোবাজারিচক্র। কাউন্টার ও অনলাইনে টিকিট না মিললেও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে আড়াই গুণ চড়া দামে ঢাকাগামী আন্ত নগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে কালোবাজারিদের কাছে। ৫০০ টাকার টিকিট এক হাজার ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ-দিনাজপুর হয়ে ঢাকা রেল রুটে প্রতিদিন তিনটি আন্ত নগর ট্রেন চলাচল করে। পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার যাত্রীরা এ স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠানামা করে। এ তিনটি উপজেলার যাত্রীদের জন্য এ স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ২৪টি, দ্রুতযানের ১২টি এবং একতার ২২টি আসন বরাদ্দ। তবে এখন বরাদ্দের অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এ স্টেশনে ঢাকাগামী আন্ত নগর ট্রেনগুলোর জন্য যে পরিমাণ আসন বরাদ্দ রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। রেল ভ্রমণ নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ার কারণে এ স্টেশনে ট্রেনের টিকিট পেতে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কিন্তু সাধারণ কোনো যাত্রীই স্টেশন কাউন্টার থেকে ঢাকা যাওয়ার নির্ধারিত আসনের টিকিট পায় না। কাউন্টারে গেলে জানিয়ে দেওয়া হয়, টিকিট নেই। তবে বাড়তি টাকা দিতে চাইলে টিকিট কালোবাজারিদের মাধ্যমে পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে, স্টেশন মাস্টার মুক্তারুল ইসলাম ভ্রমণের চার দিন আগেই কাউন্টারের সব টিকিট কালোবাজারে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করে দেন। কালোবাজারিরা কাউন্টারের ওই সব টিকিট যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে চড়া দামে। স্টেশন চত্বরেই প্রকাশ্যে উচ্চ মূল্যে এসব টিকিট বিক্রি করা হয়। অথচ দেখার কেউ নেই।
জগথা মহল্লার বাবুল বলেন, ‘আমার বোন-ভগ্নিপতি ৬ জুন ট্রেনে ঢাকায় যাবেন। তিনটি টিকিটের জন্য চার দিন অগে থেকে স্টেশনে যাই। কাউন্টারে কোনো টিকিট পাইনি। পরে কালোবাজারিদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার টিকিট এক হাজার ২০০ টাকা করে কিনেছি। এর মধ্যে দুটি পীরগঞ্জ স্টেশন কাউন্টার থেকে ইস্যু করা। অন্যটি অনলাইনে সংগৃহীত।’
এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার মুক্তারুল ইসলামের মতামত জানতে গতকাল দুপুরে স্টেশনে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।