মাঠ ও মাঠের বাইরে- দুই জায়গায় একই রকম মুশফিকুর রহীম। অনুশীলন কিংবা খেলার মাঠ- সব জায়গায়ই মুশফিক মানেই শতভাগ সিরিয়াস এক পারফরমার। মাঠে তার উৎসব-উদযাপন করার প্রক্রিয়াটিও সবসময় নিজের মত।
বাড়তি হৈ হুল্লোড়, হইচই, হাত পা ছোড়াছুড়ি- এসব কিছু করেন না তেমন। বড়জোর শতরানের পর কিংবা উইকেটের পেছনে প্রতিপক্ষের কোন ভাইটাল ক্যাচ নিতে পারলে হয়তো দু হাত ছুড়ে একটু উল্লাস করেন।কিন্তু সেই মুশফিক যখন উল্লাসে ফেটে পড়েন, সচরাচর যা করেন না এমন কোন উৎসবে মেতে ওঠেন আর সম্পূর্ণ নতুন কোন উদযাপন করেন- তখন অবাক হতে হয় বৈকি। ঠিক সেরকম একটি উদযাপন করেছিলেন ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফিতে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকের ৩৫ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ভর করে ২১৩ রান তাড়া করে অবিস্মরণীয় এক জয় পায় বাংলাদেশ। ম্যাচে জয়ের পর হঠাৎ ‘নাগিন ড্যান্স’ দিতে শুরু করেন মুশফিক। সবাই অবাক হয়ে যান।
সবার জানা, বাংলাদেশের একজন মাত্র ক্রিকেটার আছেন যিনি নাগিন ড্যান্স করেন, তিনি নাজমুল ইসলাম অপু। এ বাঁহাতি স্পিনার উইকেট পেলেই দু হাত সাপুড়ের মত করে নেচে ওঠেন।
মুশফিক জীবনে একবারই ঐ উৎসব করেছিলেন। যা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কেউ কেউ এমন আগ্রাসী উদযাপনের জন্য বাহবা দেন। আবার অনেকেই সমালোচনা করেন শ্রীহীন উদযাপনের কারণে।এতদিন পর নাজমুল অপুর মত সেই উদযাপন করার কারণ জানালেন মুশফিক। শনিবার রাতে নিজের ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটের নিলাম শুরুর লাইভ অনুষ্ঠানে এসে কথা প্রসঙ্গে মুশফিক জানিয়েছেন, আসলে এটা কোন পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। আগে থেকে ঐ নাগিন ড্যান্স করার কথা ভেবে রাখেননি। হুট করেই হয়ে গেছে।
এ সম্পর্কে মুশফিকের ব্যাখ্যা, ‘এটা আসলে আগে থেকে ঠিক করা ছিল না। এটা নতুন কোন সেলিব্রেশনও ছিল না। অপু ভাই (বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপু) প্রথম শুরু করেন। আমার ইচ্ছে ছিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যদি আমরা জিততে পারি, তাহলে স্পেশাল কিছু করব। ঐ ম্যাচের উইনিং রানও এসেছিল আমার ব্যাট থেকে। তাই আনন্দের আতিশয্যে ঐ নাগিন ড্যান্স দিয়েছিলাম।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আসলে শ্রীলঙ্কার মাটিতে আমাদের জয়ের রেকর্ড ছিল না। আমরা কখনও অত রান (২১৩) রান তাড়া করে জিতিনি। তাই অনেক ভাল লেগেছিল। আনন্দের মাত্রা সে কারণে খুব বেশি ছিল। খুশির আতিশয্যেই অমন করেছিলাম। তারপরে যে ওটা অত ফেমাস হয়ে যাবে ভাবিনি। তাৎক্ষণিকভাবে করা। সেটা কাউকে হেয় করার জন্য না। শুধুমাত্র সাধারণ একটা উদযাপনই ছিল।’