ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল ও তার বন্ধু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ২ মাস ধরে আটক রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করার অভিযোগে আল আমিন (২৮) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল ও রবিউল ইসলাম নামে তার এক বন্ধু গ্রেপ্তার হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশ তাকে পুলিশ লাইন থেকে গ্রেপ্তার করে। কিশোরীকে আটক রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ওই পুলিশ কনস্টেবল ও তার বন্ধ রবিউলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কনস্টেবল আল-আমিন ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকার তৈবুর রহমানে ছেলে। রবিউল ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে টেলি মেডিসিন পদে চাকুরী করতেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের আব্দুল কাশেমের ছেলে বলে জানা গেছে।

গত রোববার রাত ১২ টায় কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে আল আমিনকে ১ নাম্বার ও রবিউলকে ২ নাম্বার আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে ওই দিন দুপুরে শহরের হাজিপাড়া এলাকা থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীকে (১৮) উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে রবিউল আটক হয়। অপর আসামি আল আমিন পলাতক রয়েছে।

ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, আল- আমিন আমাকে প্রথমে প্রেমের ফাদে ফেলে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যায়। সেখানে ৫ দিন রেখে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কক্সবাজার থেকে এসেই জানতে পারি সে বিবাহিত। তার একটি সন্তানও রয়েছে। আমি নিশ্চিত হই সে প্রতারক। আমি আমার বাসায় ফিরে যেতে চাই। বার বার তাকে অনুরোধ করি। কিন্তু আল-আমিন ও রবিউল আমাকে আটকে রাখে। ২ মাস পর্যন্ত আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে রেখে নির্যাতন করেছে। ধর্ষণ করেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বলেন, আল আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ফাদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে মাস তিনেক আগে হঠাত একদিন আমার মেয়ে বাসার অনেকগুলি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা অনেক খোজাখুজির পরও তার কোন সন্ধান পাচ্ছিলামনা। এখন জানতে পারছি এত কিছু হয়েছে। প্রায় তিন মাস পর পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। আমি এই অন্যায় ও জুলুমের বিচার চাই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, রোববার দুপুর ১২ টার সময় একটি মহিলা ম্যাচ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরী মেয়েটি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। দোষী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে যথাযথ পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।