ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াশার কারণে গত ২/৩ দিন থেকে ঠিকমত সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পর সূর্য উঠলেও বেশিক্ষণ তীব্রতা থাকছে না। এতে করে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের দোকানগুলো ভীড় বেড়েছে।
শুক্রবার বেলা দেড়টা অবধি সূর্যের দেখা মিলেনি। এসময় সড়ক মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন রাত ৮ টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো। শীত নিবারনের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন অনেকেই। শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয বড় মাঠের পার্শ্বের মার্কেট ও ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভীড় সবচেয়ে বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। তবে সন্ধার পর রোড যুব সংসদ হকার্স মার্কেটে ভীড় জমতে দেখা যায় বেশি। সেখানে বিভিন্ন বয়সীদের জন্য নানা ধরনের কাপড় বিক্রি হতে দেখা যায়।
শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় কাজে যোগদান করতে না পেরে বেকায়দায় পরেছেন তারা। সেই সাথে শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদী পশুও। কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
প্রতি বছর সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যক্তি বা সংগঠনকে তেমন কার্যক্রম শুরু করতে দেখা যায়নি। তবে জেলা প্ঠারশাসন ও বিজিবি’র পক্ষ থেকে অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সামনের দিনে সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ব্যক্তিগত উদ্যোগ বা সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে এমন প্রত্যাশা করেন এ অঞ্চলের শীতার্ত মানুষেরা।