ইকো পাঠশালা এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিমা আখতারের পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন
ঠাকুরগাঁওয়ের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইকো পাঠশালা এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিমা আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। গত রোববার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষনা ইনষ্টিটিউটের প্রফেসর ড. এ এস এম আতীকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে সেলিমা আখতারের রচিত “ওমেন ইন এনজিও অপরচুনিটিস এন্ড চ্যালেঞ্জেস” শীর্ষক অতিসন্দর্ভের জন্য পিএইচ.ডি. ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ইতিপূর্বে ড. সেলিমা আখতার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেছেন। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের সর্ববৃহৎ বেসরকারি শিক্ষায়তন ইকো পাঠশালা এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ তিনি।
ড. সেলিমা আখতার জামালপুর জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের দীর্ঘকালীন অধ্যক্ষ সুজায়াত আলী মিঞার কনিষ্ঠা কন্যা এবং জাতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন সংস্থা ইএসডিও’র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামানের সহধর্মীনি। তাঁর একমাত্র পুত্র শ্বাশত জামান এইচএসসি পরিক্ষার্থী। কর্মজীবনে তিনি ইকো পাঠশালা এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছাড়াও ইএসডিও সহ নানা ধরনের সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ০৭টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন। মান সম্মত শিক্ষাদান এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখার স্বীকৃতির স্বরূপ ব্রিটিশ কাউন্সিল তাকে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এ্যাওয়ার্ড ২০১৬-১৯ প্রদান করে। এছাড়াও “লিডিং দ্যা ইন্টিগ্রেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল লার্নিং ইন দ্যা স্কুল” হিসেবে স্বীকৃতি দান করে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে খামার পর্যায়ে প্রথমবারের মত পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় আটজন প্রান্তিক কিষাণীদের মাধ্যমে ‘টিউলিপ ফুল উৎপাদনে’ তিনি মূল নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাছাড়া, লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলায় মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র স্মৃতিসৌধ অপরাজেয়’৭১ নির্মাণেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, গবেষণা ও সমাজ উন্নয়নে উত্তরের প্রান্তিক জেলা ঠাকুরগাঁও-এর একটি বিশিষ্ট নাম সেলিমা আখতার। তাঁর নানামুখি কর্মকান্ডের জন্য তিনি বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক সম্মাননা অর্জন করেছেন।