ডিভিআর মেশিন নষ্ট হওয়ার কারণে প্রায় ৬ মাস ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে বসানো সিসি টিভি ক্যামেরাগুলো। অপরাধীদের সনাক্ত করনের জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকায় বসানো এসব ক্যামেরা এখন আর কোন কাজে আসছে না। তবে থানা পুলিশ বলছেন, ক্যামেরাগুলো সচল করতে যে পরিমান টাকা দরকার, তা তাদের কাছে নেই। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পীরগঞ্জ থানা সুত্রে জানা যায়, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি মনিটরিং এবং অপরাধীদের সনাক্ত করতে প্রায় এক বছর আগে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের উদ্যোগে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে বৈদ্যুতিক খুটিতে ২৬টি সিসি টিভি ক্যামেরা বসাানো হয়। এতে পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তা, বটতলা ও উপজেলা পরিষদ সহ গুয়াগাও বাসষ্ট্যান্ড থেকে জেডি ফিলিং স্টেশন, পুরাতন রাইস মিল হতে নেতার মোড়, সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে টিএনডটি পর্যন্ত গুরুত্বপুর্ন সড়ক সমূহ ক্যামেরার আওতায় আসে। ক্যামেরাগুলো চালু থাকা কালীন সময়ে এর ফুটেজ শহরের বিভিন্ন দোকান ও বাসা বাড়ির চুরি, জন গুরুত্বপুর্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল চুরি, মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী সহ ক্লু-লেশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে। সেই সাথে আপরাধীদের মনে ভীতি সঞ্চারও করে। এতে শহরে প্রকাশ্যে অপরাধ প্রবনতা অনেকটা কমেছিল। প্রায় ৬ মাস আগে থানায় বসানো ক্যামেরাগুলোর মেইন ডিভিআর মেশিন নষ্ট হবার কারণে সব ক্যামেরা অচল হয়ে পড়ে। থানা পুলিশ ডিভিআর মেশিনটি মেরামত করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু টাকা বরাদ্দ না থাকায় মেরামত করা বা নতুন ডিভিআর মেশিন কেনা সম্ভব হয়নি।
পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডিভিআর মেশিনটি বজ্রপাতে নষ্ট হওয়ার কারণে সিসি ক্যামেরাগুলো সচল নাই। সেটি বদল করতে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা দরকার। এর জন্য কোন বরাদ্দ নেই। আগের ইউএনও মহোদয় এটি ঠিক করে দিতে চেয়েছিলেন। বদলী হয়ে যাওয়ায় সম্ভব হয়নি। বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বা উপজেলা পরিষদ উদ্যোগ নিলে সিসি টিভি ক্যামেরাগুলো চালু করা সম্ভব। এটা এলাকার আইন শৃংখলার পরিস্থিতি মনিটরিং এবং অচেনা আপরাধী সনাক্ত করার জন্য খুবই জরুরী।
এদিকে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন কারী প্রতিষ্ঠান প্রধান আবু তালেব জানান, শহরে বসানো প্রায় সব ক্যামেরাই ঠিক আছে। ডিভিআর মেশিনটি প্রতিস্থাপন করতে ৩০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। এটি বসানো গেলেই ক্যামেরাগুলো চালু করা সম্ভব।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম বলেন, এটার জন্য থানার ওসিই যথেষ্ট। তারপরও আমি উপজেলা পরিষদের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।