পীরগঞ্জে ‘পিতা-মাতার ঠাঁই এখন গোয়ালঘরে’ সংবাদটি ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে শেখানো বক্তব্য ক্যামেরায় ধারণ করে ‘পিতা-মাতার ঠাঁই এখন গোয়ালঘরে’ এমন শিরোনামে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বুধবার দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন ওই দম্পতির ছেলে গণেশ চন্দ্র রায় এর পরিবারবর্গ।
লিখিত বক্তব্যে গণেশ চন্দ্র রায় জানান, সম্প্রতি কয়েকজন সাংবাদিক তাঁর বৃদ্ধ পিতা নগেন্দ্রনাথ রায় ও মাতা বিজয়া রাণী রায়কে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে শেখানো বক্তব্য ক্যামেরায় ধারণ করেন। ওই শেখানো বক্তব্যে সন্তানদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা বলেন তাঁর পিতা-মাতা। এরপর ধারণকৃত সেই সাজানো বক্তব্যের ভিডিওটি ছেলে গণেশকে দেখিয়ে ৩ হাজার টাকা দাবি করেন সাংবাদিকরা। টাকা না দিলে তারা ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে বলে জানান।
গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমার কাছ থেকে টাকা না পাওয়ায় আমার বাবা-মাকে শেখানো বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তাঁরা। এরপর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ‘পিতা-মাতার ঠাঁই এখন গোয়ালঘরে’সহ বিভিন্ন শিরোনামে মিথ্যা,মানহানিকর সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের সূত্রধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম এবং পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের লোকজন সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ওই প্রকাশিত সংবাদের ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাননি।
গণেশ চন্দ্র রায় আরও বলেন,ওই মিথ্যা সংবাদের কারণে আমরা সামাজিকভাবে হেয় হয়েছি। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন ফোন করে ঘটনা বিষয়ে জানতে চেয়ে আমাদের বিব্রত করছে। আমরা ওই মিথ্যা সংবাদের কারণে সুশীল সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না।
মিথ্যা,বানোয়াট সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধ দম্পতি নগেন্দ্রনাথ রায় ও বিজয়া রাণী রায়, ছেলে দুলাল চন্দ্র রায়, প্রতিবেশী সুজন চন্দ্র রায়সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।