ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা অনলাইনে এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,আগামী ২৮ নভেম্বর পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা অনলাইনে এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার সার্ভার খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।তবে পরীক্ষার্থীরা সময় পাবে ১ঘন্টা ৪০মিনিট।
এতে আরও জানানো হয়, ২৮ নভেম্বর পরীক্ষার আগে একটি ট্রায়াল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২১ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। যেসব বিষয়ে যত নম্বরের এমসিকিউ থাকবে-আইসিটি ১০,বাংলা-১৫,ইংরেজী-১৫ এবং বিজ্ঞান,মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা প্রতিটি গ্রুপের ৪টি বিষয়ের প্রত্যেকটিতে ১৫ নম্বর করে ৬০ নম্বর সহ মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১০০টি প্রশ্নের মধ্যে প্রত্যেকটি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া জন্য শিক্ষার্থীরা সময় পাবে ১ মিনিট। ১০০টি প্রশ্নের জন্য ১০০ মিনিট। এ সংক্রান্ত আরও তথ্য পেতে কলেজের ওয়েবসাইট – www.pirganjgc.edu.bd ও ফেইসবুক পেইজ- pirganj govt. college,thakurgaon. online class এ সার্বক্ষণিক যুক্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এবিষয়ে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক একরামুল হক বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই আমরা অনলাইনে এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বাদশে উত্তীর্ণ হওয়ার পরীক্ষা হিসেবেই এটি গণ্য করা হবে।
প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক শিক্ষার্থী এখনও অনলাইনের বাইরে। তারা কীভাবে পরীক্ষায় অংশ নিবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্ধু বা বাড়ির পাশের কারো সহযোগিতা নিয়ে তাদের অনলাইনে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরপরেও কোন শিক্ষার্থী যদি একান্তই পরীক্ষায় অংশ না নিতে পারে সেক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব। আমরা আশা করছি সকল শিক্ষার্থীই পরীক্ষা অংশ নিবে।
করোনাকালীন সময়ে তো দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। যে সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা হবে, সে সিলেবাস কী শেষ করা হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরে সহকারী অধ্যাপক একরামুল হক বলেন, ‘একাদশ শ্রেণীর সিলেবাস আমরা করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আগেই শেষ করেছি। সেই সিলেবাস অনুযায়ী এই পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয়েছে।এতে শিক্ষার্থীদের দুঃশশ্চিন্তার কারণ নেই।’