ঠাকুরগাঁও সদরে ‘অপহৃত’ এক স্কুলছাত্রীকে একদিন পর পীরগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে; একই সঙ্গে এক তরুণকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
সোমবার ভোররাতে পীরগঞ্জ উপজেলার জোশানপাড়া গ্রাম থেকে দশম শ্রেণির এই মেয়েকে উদ্ধার করা হয় বলে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান।
গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী মালেক (২০) সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের ডিলারপাড়া গ্রামের মো. রাকিবুলের ছেলে।
সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি তানভিরুল।
মামলার বরাতে ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় এই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন মালেক। কিন্তু এতে রাজি মেয়েটির সায় ছিল না।
“রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শৌচাগারে যেতে ঘর থেকে বের হলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মালেক ও তার বন্ধুরা মেয়েটিকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান।”
এই ঘটনায় সোমবার ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন, যেখানে মোহাম্মদ মালেকসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামি করা হয় বলে ওসি জানান।
ওসি আরও জানান, সোমবার ভোররাতে পীরগঞ্জ উপজেলার জোশানপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আজিজুর রহমানের বাড়ি থেকে এই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং ‘অপহরণকারী’ মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে। আজিজুর রহমান মোহাম্মদ আলীর দাদা।
তানভিরুল আরও বলেন, সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মার্জিয়া খাতুনের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় মেয়েটি জবানবন্দি দিয়েছেন। একই আদালত গ্রেপ্তার মালেককে জেল হাজতে পাঠানোরও নির্দেশ দেয়।
এদিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলছে বলে জানান ওসি তানভিরুল।
সূত্র: বিডিনিউজ