ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ফরিদুপুর গ্রামের পশিরুল ইসলাম (২৮) নামে যুবককে হত্যার মামলায় ১ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বি এম তারিকুল কবীর এ রায় প্রদান করেন। এছাড়াও ওই মামলার অপর আসামী শাপলা বেগমকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত অপর আসামী মাজেদুল হক পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন, সদর উপজেলার রুহিয়া ফরিদপুর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে নুরুল হক (৫৫)। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নুরুল হকের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪৫), ও তার মেয়ে নারগিস বেগম (২২) ও ছেলে মাজেদুল হক (২৪)। তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। তবে মাজেদুল হক পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত না হওয়ায় নুরুল হকের অপর কন্যা শাপলা বেগম (১৫) কে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, হত্যার তারিখ হতে ৪ বছর পূর্বে নুরুল ইসলামের মেয়ে নারগিস বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ফরিদপুর গ্রামের লোদা মোহম্মদের ছেলে পশিরুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকে। পরে নুরুল হক তার মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পশিরুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পশিরুল ৬ মাস কারা ভোগ করেন। পরবর্তিতে গত ২০১১ সালের ১২ আগস্ট নারগিস কৌশলে পশিরুলকে বাপের বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রথমে বেধরক মারপিট পরে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় পশিরুলের পিতা বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামী করে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড. আব্দুল হামিদ ও আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড. জয়নাল আবেদীন ও এ্যাড. জাকির হোসেন।