ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২০

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর কচুবাড়ীমাদারগঞ্জ গ্রামে আপন (১২) নামে এক শিশুকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তিতে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-১ মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করতে সদর থানার প্রতি নির্দেশনা দেন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২৪ আগষ্ট ওই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে আপন (১২) বাড়ির পার্শ্বে আরডিআরএস’র পেয়ারা বাগানে পেয়ারা পারতে যায়। এ সময় পাশেই একটি ছাগল গাছের সাথে রশি পেচিয়ে চিৎকার করতে দেখলে এগিয়ে
গিয়ে রশির বাঁধন খোলে দিতে থাকে। এ সময় ছাগলের মালিক সদর উপজেলার আরাজী কেশুরবাড়ী গ্রামের মৃত হাবু শেখের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৪২) ও তার স্ত্রী পারভীন (২৮) ছাগলের চিল্লাচিলির ব্যাপারে ভুল বুঝে শিশু আপনকে ধরে ফেলে। পরে আরও কয়েকজন ব্যক্তি মিলে আপনকে পারভীনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সম্পুর্ন উলঙ্গ করে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। পরবর্তিতে আপনের পিতা বিষয়টি জানতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আপনকে গাছে বাধা ও গুরুতর আহত অবস্থায়
উদ্ধার করে প্রথমে ভুল্লী বাজারে পল্লী চিকিৎসক ও পরে ২ সেপ্টম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে আপোস-মিমাংসার কথা বলে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সমাধান না হওয়ায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর আপনের পিতা লিয়াকত আলী বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-১ এ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, ফরিদুল ইসলাম (৪২), তার স্ত্রী পারভীন (২৮), জিল্লুর রহমান মেম্বার
(৬২), বদিউল ইসলাম (৩৮), কুদ্দুস মন্সি (২৫) ও রশিদুল (৫২)।