রাণীশংকৈল কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে মারপিট

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২০

সড়কে সাইড নেওয়াকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায়কে মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঐ দিন রাতেই থানায় দুই জনের নামে মামলা দায়ের করেছে ঐ কর্মকর্তা। আসামীরা হলেন, পৌর শহরের ভান্ডারা গ্রামের মৃত আম্বর হাজ্বীর ছেলে ফারুক হোসেন(৩০) ও আবুল কালামের ছেলে লেমন হোসেন(২৫)। ঘটনাটি গতকাল সোমবার বিকেলে পৌর শহরের বন্দর চৌরাস্তা নামক এলাকায় ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বেহাল সড়কের কারণে বন্দর চৌরাস্তা মোড় সব সময় যানজট লেগে থাকে। ঠিক যানজট লেগে থাকা অবস্থায় বন্দর ডাবতলী মোড় যাওয়ার প্রাক্কালে ঐ যানজটে আটকে পড়েন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা । সে সময় অপরদিক থেকে মোটরসাইকেল যোগে আসছিলেন ফারুক হোসেন ও লেমন হোসেন। তারাও যানজেট পড়েন। এমন সময় অতর্কিতভাবে তারা কৃষি কর্মকর্তার মোটরসাইকেল সরিয়ে নিয়ে তাদের সাইড দিতে বলছিলেন। তবে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের জানান তিনি এ পথ দিয়ে সামনে যাবেন। এতেই বাধ সাধে যুবকদের সাথে এই কর্মকর্তার। দুজনের কথাকাটির এক পর্যায়ে যুবকদ্বয় এই কর্মকর্তাকে চড় থাপ্পর মেরে দেন।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

অপরদিকে মারপিট করার অভিযোগে অভিযুক্ত ফারুক বলেন, উনার কারণে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তাই উনাকে সরে যেতে বলেছিলাম। এ কারণে তিনি আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ কারণে কথাকাটি হয়েছে। তবে তাকে আমি মারপিট করিনি।

এই ফারুক হোসেন আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে উদ্ভট বদ মেজাজী এবং মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করাই তার নিত্যদিনের কাজ বলে নাম প্রকাশে অইচ্ছুক অনেকে জানান। বিএনপি থেকে আ’লীগের রাজনীতিতে আসা ফারুক পৌর যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলনের সভাপতি প্রার্থী দাড়িয়েছিলেন। যদিও তিনি সভাপতি হতে পারেন নি। তবে নিজেকে এখন পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়ান। তবে পৌর যুবলীগের সভাপতি আলী জানান, সে কোন কমিটিতে নাই।

ফারুক হোসেন এর আগে বহু মানুষকে লাঞ্চিত করেছেন এমন কি আ’লীগের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মিকেও তিনি বিভিন্নভাবে হয়রানী ও লাঞ্চিত করেছেন। এছাড়াও বছর চারেক আগে বন্দর শিমুলতলী এলাকায় হরিপুর উপজেলা আ’লীগের প্রথমসারীর এক প্রয়াত নেতাকেও অহেতুক লাঞ্চিত করেছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি খুব দুঃখজনক। অন্যায় ভাবে লাঞ্চিত করার কারণে। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

জানতে চাইলে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন মঙ্গলবার বলেন, অপরাধ যেই করুক তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। অপরাধের শাস্তি আমরাও চাই।

অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল মান্নান মঙ্গলবার বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরার প্রক্রিয়া চলছে।