মানুষ দেখলে জানাজানি হবে এই ভেবে ভোর রাতেই ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তার ধারের ২৫-৩০টি সরকারি ইউক্যালিপ্টাস গাছ গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সদর উপজেলার ঢোলারহাট ছোট খড়িবাড়ী নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার রমনীকান্ত নামে ব্যক্তি রাতের আধারে গাছগুলি কর্তন করার পর গাছের গোড়া ও ঘাস-পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। গাছের ডালপালা রাখা হয়েছে তার বাড়ির আঙ্গীনায়। পরে খোজ নিয়ে জানা যায়, গাছগুলি স্থানীয় ইউসুফ আলরি মিলে বিক্রয়ের জন্য রাখা হয়েছে। পরে ওই মিলে গিয়ে গাছ কর্তনের সত্যতা পাওয়া যায়। রমনীকান্ত ওই এলাকার মৃত বীরেন্দ্র নাথ বর্মন ওরফে ভোলার ছেলে।
এ ব্যাপারে রমনীকান্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এগুলো মুলগাছ নয়। গাছ থেকে বের হওয়ায় শিকড় জাতীয় ডালপালা। তাছাড়া গাছগুলি আমরাই লাগিয়েছিলাম। গাছ কর্তনের ব্যাপারে কারও অনুমতি নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মনের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে কেটেছি।
এ বিষয়ে ঢোলারহাট ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মনের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, কোন প্রকার গাছ কর্তনের ব্যাপারে রজনীকান্ত তার সাথে কথা বলেননি বা অনুমতি নেননি। তবে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগে রমনীকান্তের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। কর্তনকৃত গাছগুলি জেলা পরিষদের। বিষয়টি তিনি ইতিমধ্যে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কাটার জন্য রমনীকান্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম স্বপনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গাছ কর্তনের বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদের সরকারি গাছ কাটার জন্য ইতিমধ্যে ধানায় জানানো হয়েছে। রমনীকান্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।