
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় একাধিক মামলার আসামি হুমায়ুন কবীরকে গ্রেফতারকালে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের মানিকখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের চার এসআইসহ এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে হুমায়ুনের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ গ্রামবাসীর ওপর পুলিশই হামলা চালিয়েছে।
মামলার আসামি হুমায়ুন কবির (৪০) মানিকখালি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শ্যামনগর থানা পুলিশের এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, আসামি হুমায়ুনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আমিসহ পৃথক আরেকটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আইনুদ্দীন, এসআই নুর কামাল, এএসআই বিল্লাল হোসেন, কনস্টেবল রিপন হোসেনকে নিয়ে হুমায়ুনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযানে যাই। অভিযানকালে হুমায়ুনকে গ্রেফতার করে থানায় ফিরে আসার সময় হুমায়ুনের পরিবার, আত্মীয়সহ গ্রামবাসী পুলিশের ওপর হামলা চালায়।তিনি বলেন, হামলায় আমার বাম হাত ভেঙে গেছে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় এখনও এক্সরে করতে পারিনি। এছাড়া অভিযানে থাকা সকল পুলিশ সদস্য কমবেশি আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা নং৩২, তারিখ ১৮.০৫.২০ইং ও মারপিটের মামলা নং৫, তারিখ ০৫.০৫.২০ইং এই দুই মামলায় হুমায়ুন কবির পলাতক ছিলেন। এই দুই মামলায় গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হয় বলেও জানান এই এসআই।
এদিকে আটক হুমায়ুন কবিরের ভাগ্নে আসাদ বাবু জানান, মামা অসুস্থ। পুলিশ বাড়িতে এসে মামাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী গ্রামবাসী পুলিশের কাছে জানতে চাই, গ্রেফতারের কারণ কী? আদালতের কোনো ওয়ারেন্ট আছে কিনা। তখন পুলিশ সদস্যরা কিছু দেখায়নি। এ সময় গ্রামবাসী মামাকে থানায় নিয়ে যেতে বাধা দেয়। তখন পুলিশ সদস্যরা গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় কয়েকজন আহত হয়েছে।