পীরগঞ্জ ভুমি অফিসে সেবার মান বেড়েছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসে সেবা ও কাজের গতি বেড়েছে। নাম জারি করা সহ বিভিন্ন কাজে এ অফিসে আসা সাধারন মানুষের হয়রানি ও ভোগান্তি প্রায় বন্ধ হয়েছে। দালালদের বিতাড়িত করে সাধারণ মানুষের সঠিক সেবা পাওয়ার বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন ভুমি অফিস সমূহেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিগিতার আওতায় আনা হয়েছে। সঠিক সময়ে সেবা পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। তবে নাখোঁশ হয়েছেন কিছু দালাল।

উপজেলা ভুমি অফিস সুত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ সময়ই পীরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসের কার্যক্রম চলেছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সহকারী কমিশনার(ভুমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশাসনিক সহ নানা কাজে ব্যস্ততার কারণে ভুমি অফিসে তেমন সময় দিতে পারতেন না। এতে ভুমি সেবা থেকে কিছুটা বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন সাধারণ মানুষ। বেশির ভাগ সময়ই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বসেই নাম জারি সহ ভুমি অফিসের বিভিন্ন কাজ সারতেন ভারপ্রাপ্তরা। সব সময় পাওয়া যেত না ভুমি অফিসে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভুমি অফিসে তৈরী হয়েছিল দালাল চক্র। তারা কাজ করে দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘোড়াতেন মাসের পর মাস। নিয়মিত তদারকি করতে না পারায় ইউনিয়ন ভুমি অফিসগুলোতেও বিশৃংখল অবস্থার তৈরী হয়। সব মিলিয়ে ভুমি অফিস মানেই ভোগান্তি এমনটাই মনে হতো সাধারণ মানুষেক কাছে। এ অবস্থায় ৫ মাস আগে পীরগঞ্জ ভুমি অফিসে সহকারী কমিশনার(ভুমি) হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল্লাহ আল রিফাত। তিনি যোগদানের পরেই নিয়মিত অফিস করা সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেনায় ও পরামর্শে ইউনিয়ন ভুমি অফিসগুলিতে তদারকি জোড়দার করেন। নাম জারি, মিস কেস সহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজ দ্রুত নিস্পত্তির উদ্যোগ নেন। দালালদের বিতাড়িত করে সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নামজারি সহ মিস কেস গুলি সঠিক সময়ে নিজেই শুনানী করে নিদ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিস্পতি করছেন। এতে সাধারণ মানুষের হয়রানি ও অতিরিক্ত খরচের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ভুমি অফিসের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বারবার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে ইউনিয়ন ভুমি অফিসেও কাজে গতি ও সেবার মান বেড়েছে। সুত্র মতে গত ৫ মাসে উপজেলা ভুমি অফিসে প্রায় এক হাজার আট’শ নামজারি করা হয়েছে। নিস্পত্তি করা হয়েছে ১০ টিরও অধিক মিস কেস। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্পের ৫ শতাধিক ভুমিহীন ও গৃহহীনের জমির দলিল সম্পাদনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছে ভুমি অফিস। সুত্র আরো জানায় এত অল্প সময়ে যে পরিমান নামজারির কাজ সম্পান্ন হয়েছে তা বিগত দুই বছরেও হয়নি। ভুমি অফিসের কাজের পাশাপশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কাজও করছেন সহকারি কমিশনার(ভুমি)। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজিরের নির্দেশনা ও পরামর্শে সহকারি কমিশনার(ভুমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাতের এমন কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ খুশি হলেও নাখোঁশ হয়েছেন কিছু দালাল। যাদের টাকা খাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এমন দু’একজন দালাল উপজেলা ও ভুমি প্রশাসনের বিষয়ে মনগড়া অভিযোগ তুলে তাদের বিব্রত করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

সহকারি কমিশনার(ভুমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত বলেন, তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসবে জন সেবা দিতে এসছেন এবং সেই মানষিকতায় কাজ করছেন। দাপ্তরিক কোন কাজ তিনি ফেলে রাখেন না। নিদ্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ করা চেষ্টা করছেন।
সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন, অতিরিক্ত দায়িত্বে থেকে ভুমি অফিসে তেমন সময় দেয়া যায়না। সহকারী কমিশনার(ভুমি) থাকার সেখানে কাজের গতি ও সেবার মান বেড়েছে।