ঠাকুরগাঁও হাসপাতালের ছাদে ঔষধি গাছের বাগান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২

ভেষজ বাগানে উদ্বুদ্ধ করতে ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জনপ্রিয় করতে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে দুর্লভ প্রজাতির ঔষধি গাছের বাগান। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও গাছ থেকে পাওয়া প্রাকৃতিক ওষুধ দিয়ে রোগ নিরাময় বাড়াতে বাগানটি প্রদর্শনীয় হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এই প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে আধুনিকায়নের জন্য গবেষণার পাশাপাশি ভেষজ পণ্যের মান নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলোপ্যাথিক ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে বিকল্প হিসেবে ভেষজ ওষুধের উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
হাসপাতালের পুরাতন বিল্ডিংয়ের দ্বিতল ভবনের পাশে ছাদের টবে বেড়ে ওঠা গাছের সারির সমারোহ ছড়িয়েছে সবুজের। রয়েছে ভেষজ বাগানের সাইনবোর্ড। এ উদ্যানে আছে প্রায় ৪০ প্রজাতির ভেষজ গাছ। এ সবের মধ্যে রয়েছে-বিলুপ্ত ও দুর্লভ প্রজাতি অনন্তমূল, নয়নতারা, ঘৃতকাঞ্চন, অপরাজিতা, হাড়জোড়া, বিশল্যকরনী ঔষধি বৃক্ষ।
বাগানটি হাসপাতালে আসা রোগীদের মানসিক প্রশান্তিও দিচ্ছে। তবে আরও বড় পরিসরে হলে দৃর্ষ্টিনন্দন হতো এটি।
ভেজষ বাগান পরিচালক ও হাসপাতালের একমাত্র আর্য়ুবেদিক মেডিকেল অফিসার ডা. গুরুপদ সাহা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালের ছাদে বাগান করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এখনও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে প্রাচীনতম চিকিৎসাসেবা হোমিওপ্যাথি, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার গুরুত্ব রয়েছে। এ ছাড়াও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে গাছপালার রয়েছে নানা ব্যবহার। সেই লক্ষ্যে এই বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। প্রাচীন এ চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা কোন সমস্যা হয় না। তাই অনেক মানুষ এখন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার দিকে ঝুঁকছেন। প্রতিদিন হাসপাতালের বর্হিবিভাগে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিচ্ছে গড়ে ৫০ থেকে ৬০জন রোগী। আগামীতে এ সংখ্যা আরো বাড়বে।