পীরগঞ্জে ১১৫ মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
প্রতিমা তৈরি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এখন দম ফেলার সময় নেই তাদের। দিন রাত চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। উপজেলা এবার ১১৫ টি পূজামন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
শারদীয় দুর্গা উৎসব শুরু হবে ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিন রাত কাজ করছেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, দেবী দুর্গা চলতি বছরের ১লা অক্টোবর ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে মহা ষষ্ঠীর দিনে পৃথিবীতে আসবেন, মহিশ অসুর কে বধ করার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সকল দুর্গতি নাশ করে ৫ই অক্টোবর দশমির মহাপ্রলয়ের দিনে দোলায় চড়ে আবার স্বর্গে ফিরে যাবেন। পাঁচ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠেয় পূজায় উপজেলার হাজার হাজার ভক্ত ও পণ্যার্থী শারদীয় দূর্গা উৎসব পালন করবে।
বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুড়ে দেখা যায়, উপজেলার দুর্গা মন্দিডপগুলিতে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। অনেক জায়গায় মাটির কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্রতিমা শুকানো হচ্ছে। শুকালেই রং তুলির আচর দিয়ে প্রতিমাগুলোকে প্রাণবন্ত করা হবে। দেবী দুর্গার প্রতিমা ছাড়াও কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী, অসুর, মহিষাসুরসহ মোট ১২ টি প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে মন্দিরে মন্দিরে।

উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের আরাজি উজ্জলকোঠা একতা ক্লাবের সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা তৈরীর কারিগর বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা ফনি কর্মকার বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতিমা তৈরীর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে আসছি। এ বছর প্রতিমার অর্ডার অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি পেয়েছি। এখন মাটির ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে এর পরে রংয়ের কাজ করা হবে। এদিকে আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। তাই সময় ঘনিয়ে আসায় কাজের চাপ অনেকটাই বেড়ে গেছে, যার কারণে সারাদিন কাজ করার পরে রাতেও কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে শান্তিপূর্ন ভাবে পুজা উদযাপনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি সভা করা হয়েছে।

পূজা উদযাপন পরিষদ পীরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল জানান,এবার উপজেলার ১১৫ টি পূজামন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ৪ টি জায়গায় বিসর্জন তথা প্রতিমা পানিতে ভাসানোর জায়গা নির্ধকারণ করা হয়েছে। মহামারী করোনার কারণে গত দু বছর দুর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ম্লান ছিল। পূজার সেই পুরনো সংস্কৃতি অনেকটা অগোচরে ছিলো । দেবী দূর্গা আসছেন অন্ধকার আচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক, ঢোল, শংখ আর উলুধ্বনী দিয়ে দেবী দূর্গাকে বরন করে নেয়ার অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভক্তরা।