ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা’র সমাধী সংরক্ষণ এবং তাঁর স্বরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ “স্মৃতি ৭১” এর উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের রঘুনাথপুর মহল্লায় এর ফলক উম্মোচন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম। এ সময় বক্তব্য দেন, পীরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ইব্রাহীম খান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান গোলাম হুসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শামিমুজ্জামান জুয়েল, অধ্যাপক তৈয়ব আলী, সৈয়দপুর সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও শহিদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার ছেলে আসাদুজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক ফজলে ইমাম বুলবুল, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, সাবেক সভাপতি মেহের এলাহী প্রমূখ।
জাসদের উপজেলা সভাপতি দীপেন রায়, সিপিবি’র সভাপতি প্রভাত সমীর শাহাজাহান, ঠাকুরগাও টিভি জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আমিন সরকার, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, সহ সম্পাদক দুলাল সরকার, অর্থ সম্পাদক বুলবুল আহাম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক হোসেন, পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, রশিদুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
তিন লাখ টাকা ব্যয়ে এ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে উপজেলা প্রশাসন। পরে অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা’র স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল পীরগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা কে শহরের পূর্ব চৌরাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। পরে পীরগঞ্জ- ঠাকুরগাও পাকা সড়কের জামালপুর (ভাতারমারি ফার্ম) ইক্ষুখামার এলাকায় গোলাম মোস্তফাসহ ৭ জনকে নির্মাম ভাবে হত্যা করে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন সরকার ডাকবিভাগ কতৃক শহীদ অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।
শহিদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার ছেলে সৈয়দপুর সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান জানান, রাষ্ট্রীভাবে তাঁর পিতার সমাধি সংরক্ষনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা। অবশেষে হয়েছে। এর জন্য বর্তমান সরকার সহ সংশ্লিষ্টদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
