হরিপুর মডেল মসজিদ নানা সমস্যায় জর্জরিত

ঠাকুরগাওয়ের হরিপুর উপজেলা সদরে ১২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগ থেকে সদ্য নির্মিত দৃষ্টি নন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিতে লিপ্ট ও রেমসিড়ি সংযুক্ত না থাকায শারীরিক প্রতিবন্ধী,বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য ব্যক্তিরা মসজিদের শিড়ি বেয়ে ২য় ও ৩য় তলায় উঠে জামাতের সহিত নামাজ পড়তে পারছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন। অপরদিকে মসজিদে নৈশ্য প্রহরী ও বিদ্যুত ট্যাকনিশিয়ান সহ জনবল সংকটের ফলে মসজিদটিতে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য মুসল্লিদের শিড়ি বেয়ে উপরে উঠে ২য় ও ৩য় তলায় যেতে হয়। মসজিদটি বিলাশ বহুল ও দৃষ্টি নন্দন হওয়ার কারনে প্রতি শুক্রবার মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য মানুষের ঢল নামে। একসাথে প্রায় ৯শত ৬০ জন নারী ও পুরুষ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে মসজিদে লিপ্ট ও র‌্যাম সিড়ি ( প্রতিবন্ধি শিড়ি) সংযুক্ত না থাকায় বহুদুর দুরান্ত থেকে নামাজ পড়তে আসা শারীরিক প্রতিবন্ধি, বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য এবং গুইল চেয়ার ও ক্রেষ্টে ভোর দিয়ে আসা ব্যক্তিদের মসজিদের নিচতলায় নামাজ পরতে হয়। । এতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার এত টাকা দিয়ে আমাদের জন্য মমসজিদ তৈরী করে দিলেন কিন্তু আমরা যারা শারীরিক প্রতিবন্ধী ,বাধক্যজনিত কারনে অচল,বৃদ্ধ তাদের মসজিদে ২য় ও ৩য় তলায় উঠার জন্য কি লিপ্ট ও প্রতিবন্ধী শিড়ি করে দিতে পারে না? আমরা এটি তৈরীর জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। অপরদিকে গত ১১ মে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মসজিদটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর নিকট হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু সজিদটিতে দিবা-রাত্রী কালে পাহারা দেওয়ার জন্য কোন নৈশ্য প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে মসজিদে দান ব্রাক্্েরর তালা ভেঙ্গে প্রায় ১০ দশ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। অতি জরুরীভাবে নৈশ্য প্রহরী নিয়োগ না দিলে আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।এছাড়াও মসজিদটি দেখভাল ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, আজান ও নামাজ পড়ার জন্য একজন ইমাম, ২ জন খাদেম ও ১ জন মোয়াজ্জিম নিয়োগ দেয়া হলেও আরো জনবল বাড়ানো প্রয়োজন বলে মুসল্লিরা জানিয়েছেন। এই বিষয়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাং¯কৃতিক কেন্দ্রটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম বলেন মসজিদের সমস্যার বিষয়গুলি আমি শুনেছি এবং ইসললামিক ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।