
উপন্যাস, গল্প, কবিতা, ও ধর্মীয়সহ বিভিন্ন ধরনের বই তাকে সাজানো। এগুলো কোনো পাঠাগারের বই নয়, আসামিদের পড়ার জন্য রাখা হয়েছে হাজতে। অরাধমূলক কাজে লিপ্ত হওয়ার পর যাদের থানায় আটক করে আনা হয় মূলত তাদের জন্যই এই পাঠাগারটি চালু করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে এই প্রথম বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে পীরগঞ্জ থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
পীরগঞ্জ জোনের সার্কেল এসপি আহসান হাবিব বলেন, “কেউই অপরাধী হয়ে জন্মায় না। পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে আমরা অনেক সময় ভুল করে আইনবিরূদ্ধ কাজ করে বসি। আবার কখনো সঠিক পথ-প্রদর্শনের অভাবে অনেকে ভুল পথে পা বাড়াই। অপরাধ করার পর এমন অনেকে আছেন, যাদের আফসোসের সীমা থাকে না! তাই ক্ষণিক ভুল বা অভ্যাসগতভাবে অপরাধ করে দৈনিকই কিছু না কিছু মানুষ থানার হাজতে আটক থাকেন। তাদের মধ্যে সব বয়সের ও শ্রেণি-পেশার মানুষই থাকেন। এ সব মানুষ থানা হাজতে আটক থাকাকালীন নিজেদের অপরাধী না ভেবে বরং নিজেদের শুধরে নেওয়ার নতুন প্রতিজ্ঞা নিয়ে যেতে পারেন, সে কারণেই পীরগঞ্জ থানায় ‘থানা হাজত পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।”
পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ পাঠাগারে ১০০টির মতো বই রয়েছে। ধীরে ধীরে বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।’