
রংপুরের বদরগঞ্জের বালুয়াভাটা এলাকায় মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার ছল দিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রায়হান হক (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার(১০ অক্টোবর) রাতে ওই এলাকার আদর্শপাড়ায় এ ঘটনার পরে রাতেই তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শিশুটি স্থানীয় চাঁদকুঠিরডাঙ্গা বিএম কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। হোটেল শ্রমিক দরিদ্র পরিবারের মেয়েটির বাবা বদরগঞ্জ পৌরশহরের ব্যবসায়ী হানিফুল হকের দুটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন। শনিবার রাতে শিশুটিকে রায়হান হক তার মা ডাকছে বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। বাড়িতে গিয়ে শিশুটি দেখেন সেখানে তার মা নেই। পরে ঘরের ভেতর তার মা বসে গল্প করছে বলে রায়হান কৌশলে ডেকে নেন। এসময় রায়হান তাদের একটি ঘরে নিয়ে জোরপুর্বক শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটির চিৎকার শুনে ছুটে আসে শিশুটির মা। এক পর্যায়ে শিশুটি হাটতে না পারায় কোলে তুলে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়ের কান্নাকাটি দেখে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজনও। পরে রাতে শিশুটিকে থানায় নিয়ে তার বাবা রায়হান হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দেন। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই রায়হানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
শিশুটির বাবা বলেন, ‘অতিকষ্টে ভাড়া বাসা নিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। এমধ্যে বাড়ির মালিকের ছেলে রায়হান মেয়েটিকে বহুবার কু-প্রস্তাব দেয়। ঘটনাটি সে তার মাকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত ছিল রায়হান। এ কারণে কৌশলে মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে আমার মেয়েকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করেছে। আমি এই পাষন্ডের যথাযথ শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আরিফুল হক বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর মেয়েটির স্বীকারোক্তি নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে অভিযুক্তকে রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ২য় শ্রেনীর শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আল আমিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ অক্টোবর) এ অভিযোগে মামলা দায়েরের পর রাতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার।