ফলের চায়ে সুস্থ স্বাস্থ্য

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২০

পুরো বিশ্ব জুড়েই চা অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয়। দিনের শুরু, কাজের ব্যস্ততা, বিকেলের নাশতা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা কিংবা রাতে কাজের সঙ্গী হিসেবেও এক কাপ চা প্রয়োজন হয়। সাধারণত আমরা লাল চা বা লিকার চা এবং দুধ চায়ে বেশি অভ্যস্ত। তবে দেশ ও অভ্যাস ভেদে একেক স্থানে চায়ের ধরণ একেক রকম হয়ে থাকে।

এর মাঝে হারবাল চা হল অন্যতম। বিভিন্ন ধরণের উপকারী উদ্ভিজ উপাদান ও মশলার সমন্বয়ে তৈরি করা হয় এই চা। এমন হারবাল চায়ের উপকারিতা অনেক, ফলে মানুষের মাঝে সহজেই তার কদর তৈরি হয়েছে। ওজন কমানোসহ, হজমের সমস্যা কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে ফলের রস সম্বলিত হারবাল চা।যদিও সাধারণ চায়ের সাথে হারবাল চায়ের বেশ অনেকটা পার্থক্য রয়েছে এবং এই চা কে চা হিসেবে আখ্যা দিতে নারাজ অনেকেই, কিন্তু বহু দেশেই এমন চায়ের প্রচলন রয়েছে। হারবাল চা তৈরির প্রক্রিয়ায় উদ্ভিজ উপাদান ও ফলের রস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায় পুরোপুরি। যা পানে শরীর সরাসরি উপকারিতা পায়। এই চা শুধু সুস্বাদুই নয়, ভীষণ উপকারীও বটে।কীভাবে তৈরি করতে হবে ফলের হারবাল চা?
বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কীভাবে তৈরি করতে হবে পারফেক্ট হারবাল চা, সেটা জেনে নিন আজকের ফিচার থেকে। এই চা ঠান্ডাজনিত সমস্যাকে দূরে রাখাসহ পেটের সমস্যা, বমিভাব, শারীরিক ক্লান্তিভাব দূর করতেও কাজ করবে।

প্রথমে পানি জ্বাল দিয়ে এতে পুদিনা পাতা ও আদা কুঁচি দিয়ে দিতে হবে। পানিতে রঙ ছাড়লে কমলালেবুর খোসা গুঁড়া দিয়ে নেড়ে ছেঁকে নিতে হবে। এতে গ্রিন টি ব্যাগ ও কমলালেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে গরম গরম পান করতে হবে।

কমলালেবু ও গ্রিন-টিয়ের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। এছাড়া কমলালেবু ও পুদিনা পাতার মিষ্টি ঘ্রাণ মনকে শান্ত করতে কাজ করবে।