১৭ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভাতারমারি ফার্মে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ অমর আলো’তে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম, পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শহীদ সন্তান প্রফেসর বদরুল হুদা, ইউ’পি চেয়ারম্যান সহিদ হোসেন, শহীদ সন্তান অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম, এনামুল কবির, ডাঃ সোলাইমান আলী, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস হায়াত মিলন, দোয়ের সংস্থার চেয়ারম্যান তারেক হোসেন, উপজেলা উদীচীর সহসভাপতি দেলওয়ার হোসেন দুলাল সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রিয় কমিটির নির্বাহী সদস্য নূরনবী চঞ্চল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির, পীরগঞ্জ অনলাইন জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাদল হোসেন, সাংবাদিক গোলাম রব্বানী, মনুসুর আলী, ফাইদুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সামাজকি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দিনটি স্মরণে বাদ জোহর শহীদ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার বাস ভবনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ৭১’র এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পীরগঞ্জে প্রথম হানা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে অগ্নি সংযোগ করে এবং তৎকালীন থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ সুজাউদ্দীন আহম্মেদ, অধ্যাপক হোলাম মোস্তফা, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল জব্বার, মোজাফ্ফ্ হোসেন, আতিউর রহমান সহ ৭ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও পাকা সড়কের ভাতারমারি ফার্মে ব্যনয়েট দিয়ে খুঁচিয়ে ও ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা কলে লাশ ফেলে রেখে যায়। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর ২০১৪ সাল থেকে দিনটিকে পীরগঞ্জ গনহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সেই শহিদদের স্বরণে ভাতার মারি ফার্মে তেতুল তলায় শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ অমর আলো নির্মান করে উপজেলা প্রশাসন।