রাণীশংকৈলে ধানের সাথে শত্রুতা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২০

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পৌর শহরের ভান্ডারা গ্রামে প্রায় এক বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কৃষকরা ধারণা করছেন শত্রুতা বসত ধানে বিষাক্ত কীটনাশক দিয়ে এ ধান নষ্ট করা হতে পারে। এর আগে ধান রোপন করার পর ধানের চারা গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছিল বলেও স্থানীয়রা জানায়।

ধান খেতটি পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হাসিম আলীর ছেলে ইউসুফ আলীর। সরেজমিনে গিয়ে ধান খেতটি দেখা যায়, পরিপক্ক ধান গাছে ব্যাপক ধানের ফলন রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ধানের গাছ ও ধানগুলো শুকিয়ে ঝড়ে পরছে। আবার কিছু কিছু ধানের গাছ এখনো সবুজে সতেজ রয়েছে। ধরে রয়েছে থোকা থোকা ধান। তবে জমির বেশির ভাগ ধান শুকিয়ে ঝড়ে পরছে। এতে খেতের মালিক প্রায় বিশ হাজার টাকার সম-পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় একাধিক কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে,এ ধানটি কোন পোকামাকড় বা কারেন্ট পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়েছে বলে মানুষ প্রথমে ধারণা করেছিল। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছি। খেতে বিষাক্ত কীটনাশক ছিটিয়ে নষ্ট করা হয়েছে এ জমির ধান।
ধান নষ্ট হওয়া খেতের আবাদি মালিক ইউসুফ জানান, ধান প্রায় পাকার উপক্রম হয়েছে এর মধ্যেই গত দুই তিন ধরে ধানের শীষগুলো আপন থেকে ঝড়ে পরছে। এবং ধানের গাছগুলো মরে নিচের দিকে নেমে পরছে। স্থানীয় কৃষক ও অনেককে ধানের খেত দেখালে তারা আমাকে জানায় ধানগুলো বিষাক্ত কোন কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করে মেরে ফেলা হয়েছে।

ইউসুফ আরো জানান, পৈত্রিক ভাগবাটোরায় এ জমি আমি দীর্ঘ এক যুগের উপর সময় ধরে আবাদ করে আসছি। তবে সম্প্রতি সময়ে আমার আপন ছোট ভাই আব্দুল মান্নান এ জমির মালিক দাবীদার হন। তবে পৈত্রিক বাটারোয়া ও আইনি প্রক্রিয়ায় আমার সাথে না পেরে। শরীরের শক্তিতে জমিটি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। ইউসুফ ধারণা করে বলেন, জমি দখলের পায়তারার অংশ হিসাবে এ ঘটনা আমার ছোট ভাই ঘটাতে পারে বলে আমি মনে করছি। এভাবে আমার কষ্টের ফসল ক্ষতিসাধনের সঠিক তদন্তসহ জড়িতদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বৃহস্পতিবার(২২অক্টোবর) বলেন,বিষয়টি খুব দুঃখজনক আমরা অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।