ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ধর্ষণের অভিযোগ তোলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী।
এর আগে নুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি মামলা করেছিলেন তিনি।
ট্রাইবুনালের পেশকার শামীম আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় দুইজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।ওই ছাত্রীর অভিযোগ, নুরের কাছে ধর্ষণের বিচার চাইলে তিনি মোবাইলে হুমকি দেন। এ ছাড়া ফেসবুকে তাকে (ছাত্রী) ‘চরিত্রহীন’ হিসেবে তুলে ধরেন। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় তিনি মামলাটি করেছেন।
এ আইনের ২৫ ধারায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ করলে অপরাধ হবে। এর শাস্তি অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড বা অনধিক তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
২৯ ধারায় ওয়েবসাইটে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করলে অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে।৩১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ বা ঘৃণা ছড়ায়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়, তাহলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এ ধারার শাস্তি অনধিক সাত বছর কারাদণ্ড ও অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা।
বাদীর আইনজীবী তাসলিমা কাওয়াকিবি তান্নি জানান, ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবেদনটি জমা হয়েছে। এ বিষয়ে আদালত আদেশ দিলে গ্রেফতারের বিষয়টি পুলিশ আমলে নেবে।