
নদী ভাঙ্গন, ক্ষয় রোধ ও সবুজ নগরি গড়তে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৬ষ্ঠ বারের মত বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করেছে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবি যুব সংগঠন ল্যাম্পপোস্ট। দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি “মিশন লাল-সবুজ” এর ৬ষ্ঠতম কর্মসূচী বাস্তবায়ন বুধবার শেষ করেছে ল্যাম্পপোস্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। তিনদিনের এ কর্মসূচীতে লাচ্ছি নদীর দু’পাড়ে প্রায় পঞ্চাশটি ও লাচ্ছি নদী হতে পশ্চিম চৌরাস্তা ও গুয়াগাঁও মোড় হতে আলহাসানা স্কুল পর্যন্ত প্রায় শতাধিক কৃষ্ণ চুঁড়া গাছের চারা রোপন করেন তারা।
ল্যাম্পপোস্টের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন জনি জানান, সরকারি অফিস চত্বর ও পতিত জমিতে কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এবার আমরা নদী ভাঙ্গন ও অবৈধ দখল রোধে লাচ্ছি নদীর দুপাশে প্রায় পঞ্চাশটি চারা রোপণ করেছি। নদী ভাঙ্গন ও ক্ষয় রোধে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কথা আমরা কল্পনাও করতে চাই না। অক্সিজেন মানে জীবন। একটি সফল গাছ মানে হাজার প্রাণের হৃদস্পন্দন। একটি সবুজ নগরির স্বপ্নে দশ বছর মেয়াদী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন ল্যাম্পপোস্ট। প্রতিবছর সত্যিকারের কিছু পরিবেশ সচেতন ও প্রকৃতি প্রেমী শুভাকাঙ্খীদের প্রকাশ্য অনুদানে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ।
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ নগরির স্বপ্ন দেখি আমরা। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদের স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হয় অসেচতন কিছু মানুষের চরম উদাসিনতায়। এভাবে গাছ গুলোর অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে যায়। বিগত ২ বছরে শহরের আধুনিকায়নের কারণে নির্বিচারে নিধন করা হয় পঞ্চাশের অধিক সফল বৃক্ষ। অথচ গাছ গুলো রেখেই শহরায়ন করা সম্ভব ছিল। নগর পিতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্রতি বিনীত আবেদন থাকবে, দয়া করে গাছ গুলো বাঁচতে সহায়তা করুন। উন্নত রাষ্ট্রে একটি গাছ বাঁচাতে প্রয়োজনে রাস্তার নকশা পরিবর্তনের অনেক নজির আছে। আমাদেরকে অতটা কষ্ট করতে হবেনা। গাছের গোঁড়ার মাটি বুলডোজার দিয়ে নয় কোদাল দিয়ে কাটান। আশাকরি আমরা সবাই একদিন সচেতন হব।